Posted by jinson on 08:00
উইন্ডোজ এমই অপারেটিং সিস্টেমে হাইবারনেশন (শীতনিদ্রা) নামে একটি চমত্কার সুবিধা আছে। এ ফিচারটি উইন্ডোজকে বন্ধ করার বা আবার চালু করার (রিস্টার্ট) প্রক্রিয়াকে দ্রুত করেছে। তবে এটি হাইবারনেশনের মূল বৈশিষ্ট্য নয়। এর মূল বৈশিষ্ট্য হলো, এটি কম্পিউটার বন্ধ বা আবার চালু (রিস্টার্ট) করার সময় ডেস্কটপের সর্বশেষ অবস্থাটি র্যাম থেকে হার্ডডিস্ক ড্রাইভে কপি করে রাখে। আর যেহেতু হার্ডডিস্ক র্যামের মতো অস্থায়ী তথ্যভাণ্ডার নয়, তাই কম্পিউটার বন্ধ করে দিলেও সর্বশেষ অবস্থার স্মৃতি রয়ে যায় হার্ডডিস্কে। ধরুন, যদি এমএস ওয়ার্ডে কাজ করতে করতে কম্পিউটার বন্ধ (শাট ডাউন) করে দেন, তবে পরের বার কম্পিউটার চালু করলে ঠিক আগের অবস্থায় দেখতে পাবেন ওয়ার্ডের ফাইলটিকে। এমনকি কার্সরটি পর্যন্ত যেখানে ছিল, সেখান থেকে একচুলও নড়বে না। এই হচ্ছে হাইবারনেশনের ক্যারিশমা!
হাইবারনেশনের সঙ্গেই একটি দারুণ সুবিধা যোগ করেছে মাইক্রোসফট, সেটি হলো বায়োসের সংস্করণ, বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ও চালক সফটওয়্যারে (ড্রাইভার) শনাক্ত করার ক্ষমতা। ফলে উইন্ডোজ এমই ইনস্টল হওয়ার সময়ই সেটি দেখে নেয় বায়োসের উপাদান বা ড্রাইভার হালনাগাদ করা আছে কিনা। পাওয়ার ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে সেটি খাপ খাচ্ছে কিনা তাও দেখে নেয়। ফলে কোনো সমস্যা হলে কম্পিউটার অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে না, বরং উইন্ডোজ এমই ইনস্টলেশনের সময় হাইবারনেশন সুবিধাটি নিষ্ক্রিয় করে দেয়া হয়। ফলে অধিকাংশ কম্পিউটার ব্যবহারকারীই তাদের শাট ডাউন মেনুতে হাইবারনেশন নামে কোনো কিছু খুঁজে পান না।
তবে একইসঙ্গে পাওয়ার ম্যানেজমেন্টে একটি সমস্যাও রয়ে গেছে। সেটি হলো শাট ডাউন সমস্যা। উইন্ডোজ ’৯৮-এর দ্বিতীয় সংস্করণে এ সমস্যাটি প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছিল। সমস্যাটির কারণে প্রায়ই দেখা যেত, উইন্ডোজ থেকে কম্পিউটারের সুইচ বন্ধ করার নির্দেশ ঠিকই পাঠানো হয়েছে, তবে সেটা বায়োসে পৌঁছায়নি বা বায়োস তা গ্রহণ করেনি। ফলে কম্পিউটারের কাজ থেমে গেছে বা হ্যাং হয়েছে। আসলে এ সমস্যাটি উইন্ডোজ ৯* সিরিজের সাধারণ সমস্যা, উইন্ডোজ এমইকেও এ সমস্যা থেকে মুক্ত করা যায়নি। সাধারণত ব্র্যান্ড কম্পিউটার এ সমস্যা থেকে মুক্ত। সমস্যা ঘটে যখন ব্যবহারকারীরা নিজে উইন্ডোজ এমই ইনস্টল করেন। মাঝেমধ্যে সেটআপের পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট নিষ্ক্রিয় করে দিলে এ সমস্যা থেকে বাঁচা যায়। তবে সব সময় এ বুদ্ধি কাজে দেবে, এমন নিশ্চয়তা দেয়া যায় না
Categories: